,

তাড়াশে দেড় মাস ধরে বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিক!

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সবুজপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি দেড় মাস যাবত তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে করে এলাকার গর্ভবতী মা, শিশুসহ সাধারণ লোকজন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হলেও দেখার কেউ নেই!

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে রয়েছে ২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক। গত পাঁচ বছরে আরো নতুন ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে ওঠে। ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে একযোগে নিয়োগ পাওয়া ২৫ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সাবেক ২৫টি ওয়ার্ডে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তারই একটি হচ্ছে সবুজ পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক।

তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক এখনও চালু হয়নি। এ কারণে সাবেক ২৫টি ক্লিনিকে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা ২৩ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা চালানো হচ্ছে। তবে সবুজপাড়া ক্লিনিকে দায়িত্ব পালনের জন্য স্থায়ীভাবে কোনো কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নেই। যে কারণে ২৩ জন সিএইচসিপিদের মধ্যে থেকে ৩ জনকে মূল কর্মস্থল ছাড়াও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে একদিন করে সবুজপাড়া ক্লিনিকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া আছে।

অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) গত দেড় মাসে সবুজপাড়া ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করেননি। এমনটি অভিযোগ করেছেন সবুজপাড়া এলাকার আব্দুল কাদের, রোস্তম আলী, শেফালী খাতুনসহ অনেকেই।

সবুজপাড়া ক্লিনিকের পাশের মুদি দোকানি এনামুল হক জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথমদিকে এক-দুদিন ক্লিনিকটি খোলা হলেও গত দেড় যাবৎ আর খোলা হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবুজপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ। ফলে গত দেড় মাসে সবুজপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে এলাকার কেউ স্বাস্থ্যসেবা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন চরকুশাবাড়ি গ্রাম এলাকার শাহিনুর বেগম, ফতেজান, বাহদুর আলীসহ একাধিক এলাকাবাসী।

সবুজ পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা হামকুড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি একাই না হিমনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের নিলুফা খাতুন ও নাদোসৈদয়পুর কমিউনিটি ক্লিনিকের আব্দুল আলীম পর্যাক্রমে কয়েকদিন করে দায়িত্ব পালন করেছি। তবে এখন আমার দায়িত্ব নেই। একই সুরে কথা বলেন স্বাস্থ্যকর্মী নিলুফা ও আব্দুল আলিম।

তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. শাহ আলমের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলার ২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের অনুকূলে ২৩ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছেন। তাই দুটি ক্লিনিকে তাদেরই অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) প্রশিক্ষণ ও ছুটিতে থাকায় ক্লিনিকটি বন্ধ ছিল।

তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মোনোয়ার হোসেন বলেন, সবুজ পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে স্থায়ী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আশা করি দু-এক দিনের মধ্যেই এর সমাধান হবে।

এই বিভাগের আরও খবর